Ads

নতুন আতঙ্ক চিকনগুনিয়া! কিভাবে বাঁচবেন?

নতুন আতঙ্ক চিকনগুনিয়া! কিভাবে বাঁচবেন?



১৯৫৩ সালে তানজানিয়ায় চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাই চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসের বাহক। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুর মত চিকুনগুনিয়া প্রাণঘাতি নয়। কাজেই এ নিয়ে ভীতির চেয়ে বেশি দরকার সচেতনতা। আর জ্বর হলে তা তা যথাযথ সময়ে শনাক্ত এবং চিকিৎসা জরুরি।
চিকুনগুনিয়া কী?
চিকুনগুনিয়া একটি মশা বাহিত ভাইরাস জ্বর। চিকুনগুনিয়া প্রথম দেখা যায় আফ্রিকান দেশ তানজানিয়াতে। তানজানিয়াতে প্রথম এই রোগের উৎপত্তি হওয়ায় ওদের ভাষা থেকে এর নামকরণ করা হয়। যার অর্থ বেঁকে যাওয়া। ভাইরাসটি মূলত আফ্রিকান হলেও আমাদের দেশে চিকুনগুনিয়া আসে ভারতের কলকাতা থেকে।
অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে ডেঙ্গু (এডিস মশা) আছে। ডেঙ্গুর বাহক এই Adese Aegypti (এডিস ইজিপট) মশাই চিকুনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসের বাহক। পরিস্কার জমাটবদ্ধ পানিতে  ডিম ফুটে বাচ্চা দেয় এই মশাগুলো। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি অন্য কোন মশা কামড়ায়, তবে সেই মশাটির শরীরে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস প্রবেশ করবে। এবার সেই মশাটি যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে কামড়ায় তবে ঐ ব্যক্তিটিরও চিকুনগুনিয়া হবার আশঙ্কা শতভাগ। এভাবে আর দশটা মশা আক্রান্ত ব্যক্তিদের কামড়ালে সেই দশটা মশা থেকে চারদিকে মানুষ ও মশাগুলোর শরীরে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
চিকনগুনিযা রোগের লক্ষণ:
১. ভীষণ জ্বর হয়, ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি।
২. শরীরের প্রত্যেক জোড়ায় জোড়ায় অসহনীয় ব্যাথা। ব্যাথার কারণে হাতের আঙুল, পায়ের আঙুল ও জোড়া ফুলে যায়।
৩. হাঁটু ও পায়ের পাতায় অসহ্য ব্যাথার কারণে হাঁটা খুব কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। ৫. সারা গায়ে একেবারে পা থেকে মাথা পর্যন্ত লাল লাল দাগ বা র‍্যাশ দেখা যায়। এগুলো প্রথম দিকে খুব চুলকায়।
৬. অনেকের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ব্যথার কারণে বিছানা থেকে উঠা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ
চিকনগুনিয়া কোনো মরণব্যাধি নয়। তবে এই জ্বর আপনার মারাত্মক ভোগান্তির কারণ হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে এ থেকে সুরক্ষা সম্ভব। বাসার আশ-পাশ পরিষ্কার রাখুন যাতে মশা ডিম পাড়তে না পারে। ঘরে, ফুলের টবে বাড়ির আশে পাশে পানি জমে থাকতে দেখলে পরিস্কার করে ফেলুন। আপনি নিজে এ রোগে আক্রান্ত হলে যেন আপনাকে আর মশা কামড়াতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিন, কারণ আপনার থেকে এ রোগ অন্য মানুষে ছড়াতে পারে। এডিস মশা সাধারণত ভোরে ও সন্ধ্যায় কামড় দেয়, এজন্য এসময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। এই রোগে  আক্রান্ত হলে না বুঝে কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত না। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খেতে পারেন তবে আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ, বা কোনো আন্টিবায়োটিক কোনো অবস্থাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। পাশাপাশি পানিশূন্যতা এড়াতে প্রচুর পানি ও তরল খাবার পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন।

কোন মন্তব্য নেই

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.